স্বপ্নময়ী এক প্রবাসীর গল্প

Written By : জাহিদুল ইসলাম সেড

 

01. INT. Room. Night

– ঘুম আসছেনা শুয়ে শুয়ে ভাবছে “অনুভব, অনুভুতি, কল্পনা”

(“কল্পনা” শেষে কখন যেন (জাহিদ) ঘুমিয়ে পড়েছে) [Sort 3,Page 3]

Cut to

02. INT. Room. Night

– রাত 10টার ফ্লাইটে জাহিদ বাংলাদেশ থেকে লেবানন আসেছে। হাবিব তার চাচাতো ভাই ও হাবিবের দুই বন্দুকে নিয়ে জাহিদকে এয়ারপোটে আনতে গিয়েছে, আসতে আসতে রাত 11টা বেজে গেল….

– সিড়ি বেয়ে উঠছে…

– কলিং বেইলের আওয়াজ শুনে দরজা খুলল সওকত ও দেখলো, একজনের হাতে ১টা ব্যাগ হাতে সাথে আরও দুইজন তাদের হাতেও একটাকরে দুইটা ব্যাগ

হাবিবঃ “দরজার বাহির থেকে” ডোক ডোক ভিতরে ডোক (জাহিদকে)

জাহিদঃ “নারভাস ভাবে ভেতরে ডুকতে ডুকতে বলল” আসসালামুআলাইকুম ভাই

ওসমানঃ “দরজার ভেতর থেকে” ওয়ালাইকুম সালাম ভাল আছেন, আসেন ভাই ব্যগটা আমার কাছে দেন

জাহিদঃ জি ভাল, আপনারা

– জাহিদ হাবিব ও বাকি দুইজন রুমের ভেতর ডুকল, (রুমে সামান্ন আলোয় আলকিত) ব্যগটা রুমের এক কোনে রাখল ও খাটের এক কোনে বসলো

– জাহিদ চার দিকে তাকিয়ে দেখছে রুমের পরিবেশটা, ওসমান ফেনটা চালিয়ে দিল এবং জিঙাসা করল

ওসমানঃ তারপর কি খবর দেশের সবাই কেমন আছে

জাহিদঃ মাথা নেড়ে জানাল” ভালো আছে সবাই

– করিম ঘুমাচ্ছে নাক ডাকার শব্দেই বোঝা যাচ্ছে, অন্য দিকে সওকত মোবাইলের লাইট জালিয়ে এক কোনে একটা টেবিলে বসে খাবার খাচ্ছে “হাবিব” “স্বপন ও আলমগির” জাহিদের পাশেই বসে আছে।

জাহিদঃ হাবিব ভাই লাইট নেই রুমে

হাবিবঃ লাইট তো আছে কিন্তু সবাই ঘুমাচ্ছেতো তাই, বন্ধ
জাহিদঃ ও…….!!!!

– কিছু সময় পর” স্বপন ও আলমগীর যারা হাবিবের সাথে আসছে তারা তাদের বাসায় চেলে যাবে

স্বপনঃ তো ভাই আপনারা থাকেন আমারা চলে যাই সকালে কাজে যেতে হবে এমনিতেই দেরি হয়ে গেছে নইলে কাজে যেতে কস্ট হয়ে যাবে চল “আলমগীর”

আলমগীরঃ আসি ভাই ভালো থাকবেন

হাবিবঃ খাওয়া দাওয়া কইরা যা

স্বপনঃ না ভাই এখন খিদা নেই (বায়)

– তারা দুজন চলে গেলেন,

হাবিবঃ (জাহিদকে) তুই যা ভাই পাশে টয়লেট আছে ফ্রেস হয়ে আয় তারপর ভাত খা
জাহিদঃ আচ্ছা ভাই

– এই বলে টয়লেটে গেল…. কিছুখন পর ফিরে এলো….

(Before Sort Mix Scene)2200

হাবিবঃ কিরে হাত মুখ দুসনাই কেন

জাহিদঃ আসলে ভাই টয়লেট করব কিন্তু বসমু কোথায় বুঝতে পারছিনা

হাবিবঃ (হাসিতে)আরে বোকা সাদা একটা কমট আছে না সেটার উপর বসবি যা টয়লেট করে ফ্রেস হয়ে আয়

– জাহিদ আবারও গেলো……..

Cut to

03. INT. Toilet. Night

– জাহিদ অবাক টয়লেটে বসবে কিভাবে নতুন নতুন কেমন যেন লাগে,টয়লেটে বসার কোন যায়গাই দেখছে না,,এখন কি করবে কিছুখন আমতাআমতা করে রুমে গেল

(After Sort Mix Scene)2200

– আবার আসল” (জাহিদ মনে মনে) কমট তো বুজলাম কিন্তু এটার উপর বসব কিভাবে, কিছু না ভেবে পা দুটো কমটের উপর দিয়ে বসল,

(কল্পনা শেষে কখন যেন জাহিদ ঘুমিয়ে পড়েছে) [Sort

1,Page 1]

Cut to

04. EXT. Morning. Day

– লাকিস খুলে জাহিদ মালামাল বের করতেছে, তার নিজের কাপর চোপড়, মুজা বেল্ট, বের করছে, সবাই মলিন ভাবে তাকিয়ে আছে জাহিদের দিকে,, জাহিদ একটা ব্যাগ বের করল, নামটা পড়ে হাবিবকে দিল

জাহিদঃ কবির কার নাম ওনার এটা,, ওনার মা পাঠাইছে সুটকি মাছ, মরিচ ভরতা, আর লাল কালারের গামছা, ওনার দাদি নাকি খুব অসুস্থ, বেতন পায়য়া তারাতারি টাকা পাঠাইতে বলছে চিকিসা করতে হইব নাকি….

– আর একটা ব্যগ বের করে হাবিবকে দিল

জাহিদঃ (এটা আপনার জন্য) সাট, পেন্ট, আর নারিকেল তেল খালা দিছে,, খেজুরের গুড় দিতে বলছেন নাকি অনেক খুজছে পায় নাই তাই পরে পাঠাইব বলছে

– আর একটা ব্যগ বের করে ব্যাগে নাম দেখে বলল (ওসমান)

ওসমানঃ এটা আমার, দেন

জাহিদঃ হুম, কবুতরের মাংস আর হাসের মাংস আপনার ফুফু দিছে, আপনি নাকি অনেক পছন্দ করেন তাই। আর আপনারে ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করতে বলছে

– জাহিদ একটা মিস্টির ব্যাগ বের করে করিমকে দিল আর বলল

জাহিদঃ সবাইরে দেন,,
আর এইগুলা ড়িমের পিঠা আর চিতই পিঠা আমার বন্দু (বাদশার) জন্য ওর মা দিছে, ও কই থাকে জানিনা, ফোন দিয়া এখানে আসতে বলমু আচ্ছা এই জায়গাটার নাম কি??

হাবিবঃ আসরাফিয়া

জাহিদঃ কি?? আসরাফিয়া

করিমঃ আসরাফিয়া বললেই চিনব

জাহিদঃ আচ্ছা

Cut to

05. EXT. ConicSection. Day

– পরদিন জাহিদও করিম দুজন মিলে কাজ খুজতে একটা কনেস্টাকসনের বিল্ডিংয়ে গেল” করিম একজন বস এর সাথে কথা বলছে

করিমঃ মারহাবা মোয়ালেম

বসঃ আহলান, আহলান…কিফাক

করিমঃ নিহা মোয়ালেম

বসঃ সু-এসমাক ইনতা

করিমঃ ??করিম

বসঃ ওইনতা

– জাহিদের দিকে হাত দিয়ে বলেছে, জাহিদ কিছু বুজতেছে না, নারভাস ফিল করছে

করিমঃ (জাহিদ)আপনার নাম জিঙাসা করছে

জাহিদঃ ??মোঃ জাহিদুল ইসলাম

বসঃ বাদ্দাক সোগল

করিমঃ অ্যা…মোয়াল্লেম ফি সোগল

বসঃ তা আবোকরা ছেয়া ইতমেনে ওনুস

করিমঃ ওকে মোয়ালেম

Cut to

06. INT. Phone Shop. Day

– কিুছুদিন পরঃ বাংলাদেশে ফোন করতে এসেছে জাহিদ ও করিম দোকানে এসে…..

করিমঃ (জাহিদ) ভাই নাম্বার দেন

– জাহিদ পকেট থেকে একটা ছোট্ট খাতা বের করে একটা নাম্বার দেখিয়ে বলল
জাহিদঃ এই যে উপরের গ্রামিন নাম্বার টা

– করিম নাম্বার টা দোকানদারের কাছে দিয়ে দিল, দোকানদার কল ডুকিয়ে…

দোকানদারঃ ??ফাদ্দাল

– করিম ফোনটা নিয়ে জাহিদকে দিল

করিমঃ ??রিং হচ্ছে….কথা বলেন

– জাহিদ বাড়িতে সবার সাথে কথা বলল তারপর ফোনটা দিয়ে দিল দোকানদার কিছুখন টিপাটিপি করে বলল

দোকানদারঃ ছিত তেলেব

করিমঃ (জাহিদকে) ছয় টাকা হইছে ভাই

জাহিদঃ মাএ ছয় টাকা, এতোগুলা কথা বললাম মাএ ছয় টাকায় হা হা

– জাহিদ টাকা করিমের কাছে দিল করিম দোকানদারকে দিয়ে চলে এলো।

Cut to

07. EXT. ConicSection. Day

– জাহিদ ও করিম কাজ কনেস্টাকসনের কাজ করতেছে,(শরির থেকে ঘাম ঝরছে) বড় বড় ইটা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে রাখছে। জাহিদ মাঝে মাঝে থমকে যাচ্ছে মনে মনে ভাবছে এটাই কি বিদেশ-যেখানে টাকার জন্য এতো কষ্ট করতে হয়৷

[ক্যমেরায়ঃ এপাস ও পাশ লোকজন কাজ করতেছে]

Cut to

08. INT. Room. Day

– জাহিদ ঘুমিয়ে আছে পাশের বেডে আরও দুইজন(করিম,ওসমান) ঘুমিয়ে আছে….

হাবিবঃ এ ওসমান, এ সওকত, করিম? ওঠ ওঠ “বোতল ল” “বোতল ল” পানি আইছে আমি গেলাম তোরা আয় দেরি করিস না, প্রতি জন দুই বোতল পানি আনবি, এখন যদি না উঠছ কখন আনবি জানি না দুই বোতল পানি আইনা রাখবি, নইলে কিন্তু খবর আছে…..(ইআল্লাহ-ইআল্লাহ

– এই বলতে বলতে ওনি দুইটা বোতল নিয়া চলে গেছে

ওসমানঃ “মনে মনে” (আস্তে করে বলছে) হের কোন কাজ নাই একটু আগে ঘুমাইছি পেনপেন করতাছে, এ সওকত চল ওঠ পানি আইছে বলে

সইকতঃ “ঘুমের চোখে” আরে তুই যা

ওসমানঃ আরে এখন না আনলে সারা দিন পেনপেন করব চল-ওঠ,ওঠ

– এরি মধ্যে জাহিদ ও করিম চোখ ডলতে ডলতে উঠছে। সবাই দুই হাতে দুইটা করে বোতল নিয়ে রুম থেকে বের হয়ে গেছে। সাথে সাথে দুই হাতে দুই বোতল পানি নিয়ে ঘামতে ঘামতে রুমে ডুকল “হাবিব”

Cut to

09. EXT. Outside of Room. Day

– জাহিদ,ওসমান,করিম,সওকত, দুই বোতল করে পানি নিয়ে মাঝ পথে ঝিরাচ্ছে, তারপর আবার হাটা শুরু-সিড়ি বেয়ে উঠতেছে “সবার ঘাম ঝরছে” পানি রেখে “চিত হয়ে বিছানায় পরে” আবারও ঘুম সবাই।

Cut to

10. INT. Kitchen. Day

– সট-পেন্ট পড়া, ছেন্টু গেন্জি পড়া, মাজায় গামছা বাধা “জাহিদ” ও “করিম” মাছ কাটতেছে?
জাহিদঃ মা সেই ছোট থেকে খাওয়ায়া পড়ায়া মানুষ করছে, বগলে বইসা বইসা মারে কত যারি দিছি মা মাছটা এমনে কাটেন মা মাছটা ওমনে কাটেন। আজ বুজতাছি মাছটা এমনে ওমনে কাটা যে কত কষ্ট।

করিমঃ হ কথাটা ঠিকই বলছেন ভাই

জাহিদঃ করিম ভাই আমারে দিয়া আর হইব না পোটলা কইরা ফ্রীজ ডুকায়া রাখেন ভাই।

– এই বলে জাহিদ হাত দুটো ধুয়ে চলে গেল আর করিম মাছগুলো পোটলা করে বাধছে।

cut to

Be continue…

2,084 Views
Share this Post :
Jahid Farahan
Jahid Farahan

Life style travel filmmaker.

Articles: 332
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments