জাহিদুল ইসলামঃ
এই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অজানা এবং অদ্ভুদ বিষয় হচ্ছে ভবিষ্যত সম্পর্কে অজানা….
এই ব্যাপার টা হয়তো তত একটা ভাবা হয় না, কিন্তু এর ব্যাস বিশাল!
১৮ বছর বয়সে আমি যদি জানতাম বাস্তবতা আমায় ২৫ বছর বয়সে ভোগাবে এবং বিশাল আলোকময় রৌদ্ধ্যজ্বল আকাশ আমার মাথায ভেঁঙ্গে পরবে, তাহলে হয়তো বন্ধুদের সাথে ট্যুর এ যাওয়া হত না টং এর দোকানের চা এবং সিগারেট ভাগাভাগি হতো না
আমার কাছে যে পৃথিবীর শ্রেষ্ট রমনী তার নরম হাত ধরা হতো না রিকশায় হুট তুলে ঘোরা হতো না, আবার আধার রাতে তাহার জন্য চোখের জল মুছা হতো না, কি অদ্ভুদ ব্যাপার!
যদি জানা থাকত, হঠাৎ একদিন আমার চেয়ে সুর্দশন কোন পুরুষের প্রতিষ্ঠিত অর্থের কাছে ঠকে যাবো তাহলে হয়তো এত করে চাওয়া হতো না!
যদি আগাম জানা হতো সম্পর্ক টা এতো বীভসৎভাবে শেষ হবে তাহলে এত টা বছর এত নিখুঁত ভাবে বন্ধুত্ব মেনটেন করে চলতাম না
যদি এমন টা হতো আজ দুপুরের পরই আপনার সময় শেষ তাহলে হয়তো প্রতেকট টা মানুষ তার না পাওয়া স্মৃতি গুলো ভাবতে পারতো??
অথবা
যে মেয়েটা তার স্বামীর জন্য জোসনা রাতে এত সুন্দর করে সেজে ছিলো তার পরের দিন তার স্বামী রোড এক্সিডেন্ট এ মারা গেলো তাহলে হয়তো মেয়েটি এত সুন্দর স্মৃতি তৈরি করতো না!
যে পুরুষ টা বাবা হবার আনন্দে এত যত্ন করে বউ কে আগলে রাখলো কিন্তু প্রিয়তমা স্ত্রী তাকে ফুটফুটে একটি ফুল উপহার দিয়ে চলে গেলো তাহলে হয়তো পৃথিবীর কোন পুরুষ ই বাবা হবার আনন্দ উপভোগ করতে চাইতো না!
ভবিষ্যত জানি না বলেই সামান্য আলোর দেখা দেখা পেলে আনন্দে চোখে জল আসে! ভাবিষ্যত জানা নেই বলেই নিভু নিভু আলোতে জীবন পার করে দিতে হয়! ভবিষত জানি না বলেই সিজদায় লুটিয়ে পরি জীবনের সফলতার মীরাকেলের জন্য!
জীবনের এই তীব্র অনিশ্চয়তাও আল্লাহ তায়ালার প্রজ্ঞা ।
সর্বশেষে মানুষ সর্বহারা হয়ে এই সামান্য জীবনে সামান্য সুখ শান্তির জন্য আরশের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘ শ্বাসে দুই ফোটা চোখের জল ফেলতো না!